লকডাউন শিথিল হলে যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবেন

আগামী ১ জুন থেকে বাংলাদেশে আংশিক লকডাউন শিথিল হচ্ছে। এই আংশিক লকডাউন শিথিল হওয়া আমাদের কে বিভিন্ন প্রয়োজনে ও কাজে আবার বেরিয়ে পড়তে হবে। এই সময়ে কিছু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চললে আপনি হয়তো কিছুটা নিরাপদ রাখতে পারবেন নিজেকে। চলুন জেনে নেয়া যাক লকডাউন শিথিল হলে আমরা যেভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে পারিঃ 

দূরত্ব বজায় রাখাঃ সাধারণত যেকোন ভাইরাসের কাজই হচ্ছে আক্রান্ত ব্যাক্তির আশে পাশে যারা থাকে তাদের মধ্যও ছড়িয়ে পড়া তাই এই সময়ে বাহিরে বের হলে যতটুকু সম্ভব পাশের ব্যাক্তি থেকে দুরুত্ব বজায় রাখুন।

মাস্ক ব্যাবহার করাঃ যথাসম্ভব ভালো মানের মাস্ক ব্যাবহার করুন। কারন আপনার প্রাথমিক শিল্ড হিসেবে কাজ করবে একটি ভালো মানের মাস্ক। সম্ভব হলে মেডিক্যাল মাস্ক গুলো ব্যাবহার করুন এবং ব্যাবহার শেষ উপযুক্ত স্থানে ফেলে দিন। এছাড়া, যাদের পক্ষে প্রতিদিন একটি করে মাস্ক ব্যাবহার করা সম্ভব না, তারা বাজারে পাওয়া ভালো মানের আন্টি-ডাস্ট মাস্ক গুলো ব্যবহার করুন। সম্ভব হলে এটার ভেতর কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করুন যা দিন শেষে বাসায় এসে ধুয়ে ফেলতে পারেন। অনেকে ভালো মানের মাস্ক ব্যাবহার করেও মাস্ক ব্যাবহারের সঠিক নিয়ম মেনে চলেন না। মাস্ক সঠিক ভাবে ব্যাবহার করুন এবং যাতে মুখ নাক সঠিক ভাবে ঢেকে থাকে।

পকেট স্যানিটাইজার ব্যবহার করাঃ বাহিরে বের হলে সব সময় পকেট স্যানিটাইজার রাখুন। কিছুক্ষণ পর পরেই হাতে একটু স্যানিটাইজার লাগিয়ে হাত ভালো করে ঘষে নিন। যেকোন কিছু ধরার আগে এবং পড়ে স্যানিটাইজার দিয়ে হাত ভালো করে ঘষে নিন।

স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার নিয়মঃ হাতের মোবাইল পলিথিনে রাখুন এবং বাহিরে যতটুকু সম্ভব মোবাইলফোন ব্যাবহার এড়িয়ে চলুন।মোবাইলে ফোন ব্যবহার করলেও মুখের সংস্পর্শে না এনে লাউড স্পিকার দিয়ে কথা বলুন। হেডফোন ব্যবহার বাহিরে  এড়িয়ে চলুন এবং হাতের স্মার্টওয়াচ বা সাধারন ঘড়ি ব্যবহার  এড়িয়ে চলুন কারন এগুলোতে জীবাণু আটকে থাকতে পারে।

পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ও পাবলিক প্লেসঃ সাধারন পাবলিক জড়ো হয়ে থাকে গণপরিবহনে এবং তার উঠার জন্য। এছাড়া, পাবলিক জড়ো হওয়া স্থান সম্পূর্ণ এড়িয়ে চলুন কারন উক্ত স্থান গুলোতে একজন আক্রান্ত থাকলেও সবার মধ্য ছড়িয়ে পড়ার সম্ভোবনা থাকে। রেস্টুরেন্ট , মার্কেট এড়িয়ে চলুন কারন সুস্থ থাকলে এগুলো সব বিপদ কেটে গেলে আসতে পারবেন।

বাহির থেকে ফিরে আসার পরঃ বাহিরে বের হবেন যেই কাপড়ে বাসায় আসার সাথে সাথে সেই জামা-কাপড় গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করে ফেলবেন। বাহিরে টাকা লেনদেন করলে সেই টাকা পলিথিনে রেখে দিন ভুলেও ওয়ালেটে ঢুকাবেন না। সেই টাকা বাসায় এনে সম্ভব হলে আগুনের তাপ দিতে পারেন বা রোদে রেখে দিয়ে তারপর ওয়ালেটে প্রবেশ করাবেন। 

আর যা যা করবেন নাঃ 

  • ভুলেও মুখ ও নাকে হাত দিবেন না। নাক মুখ ও চোখ চুলকালে দরকার পড়লে আলাদা টিসু রেখে দিন সেটা দিয়ে না পারতে চুলকাবেন।
  • পাবলিক ওয়াশরুম ব্যবহারে অতিরিক্ত সতর্কতা মেনে চলুন।
  • যেখানে সেখানে থু থু ফেলবেন না। 
  • গ্লাভস না পরলেও চলবে। 
  • বাহিরে খাওয়া দাওয়া থেকে সম্পূর্ণ বিরত থাকুন কারন আপনি জানেননা খাবার তৈরিকারী কিংবা যিনি পরিবেশন করেছেন তিনি কতটুকু স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেছেন।
  • মাথায় টুপিঁ বা রুমাল ব্যবহার করতে পারেন এবং নারী হলে ওড়না ব্যবহার করুন
  • দীর্ঘ সময় বাহিরে থাকলে বাসা থেকে শুখনা খাবার সাথে রেখে দিন এবং অন্যর সাথে খাবার শেয়ার করা কিংবা অন্যর থেকে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এমনকি আপনার সাথে পানি রেখে দিন অন্যর থেকে পানি শেয়ার করে খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। 

এছাড়া স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় কতৃক সকল স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। করোনা নিয়ে কোন সন্দেয় হলে সরকার কতৃক মাধ্যমে যোগাযোগ করুন। আর যেকোন স্বাস্থ্য সমস্যায় প্রাথমিক ভাবে ঘরে বসেই সেবাঘরের মাধ্যমে ডাক্তারদের ভিডিও কনসাল্টেশন নিতে পারবেন। সেবাঘরে বিভিন্ন বিষয়ের উপর অভিজ্ঞ ৮০০ এর অধিক ডাক্তার যুক্ত আছেন। সরাসরি বাংলাদেশের যেকোন স্থান থেকে সেবাঘর অ্যাপ দিয়ে অনলাইনে সিরিয়াল নিয়ে ভিডিও কলে কথা বলে স্বাস্থ্য পরামর্শ নিতে পারবেন।