হাইপোথাইরয়েডিজম বলতে আমরা বুঝি আমাদের দেহে থাইরয়েড হরমোনের নিম্ন স্তর। এটি গর্ভাবস্থার আগে উপস্থিত হতে পারে বা গর্ভাবস্থাকালীন নতুন করে হতে পারে।থাইরয়েড হরমোনগুলি আমাদের দেহের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ হরমোন। অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলির মধ্যে এটি প্রজনন, মাসিক এবং গর্ভাবস্থার রক্ষণাবেক্ষণ এবং শিশুর মস্তিষ্কের বিকাশে সহায়তা করে।
হাইপোথাইরয়েডিজম কী করে?
১.অনিয়মিত period
২.ওজন বৃদ্ধি
৩. গর্ভধারণে অক্ষমতা(infertility)
৪. গর্ভপাত এবং preterm labor(৩৭ সপ্তাহ আগে প্রসব হওয়া)
৫. শিশুর মধ্যে ক্রিটিনিজম (নিম্ন আইকিউ বাচ্চা)
কি করা উচিত??
১. সর্বদা একটি এন্ডোক্রিনোলজিস্টের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
২. TSH level ১ম ত্রৈমাসিকের (১ ম 12 সপ্তাহ) 2.5 mU/l এবং < 3>
৩. গর্ভাবস্থায় TSH level ১ম এবং ২য় ত্রৈমাসিকের প্রতি মাসে এবং ৩য় ত্রৈমাসিকে অন্তত দুবার পরীক্ষা করা উচিত।
৪. যদি আপনি কোনও ওষুধের ডোজ মিস করেন তবে পরের দিন এটি স্বাভাবিক ডোজ সহ গ্রহণ করুন।
৫. গর্ভাবস্থার আগে থেকেই levothyroxin গ্রহণ করলে ডোজ সামঞ্জস্যতা প্রয়োজন।
6. শিশুর থাইরয়েড প্রোফাইলটি জন্মের 7 তম দিনে করতে হবে।
নিরাপদ গর্ভাবস্থা এবং একটি স্বাস্থ্যকর বাচ্চা নিশ্চিত করতে concieve করার পরই আপনার TSH level পরীক্ষা করুন !! আপনার যদি হাইপোথাইরয়েডিজম থাকে তবে বাচ্চার পরিকল্পনা করার আগে ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন।
Dr.Shajia Fatema Zafar
MS(Obs and Gynae)
MCPS(Obs and Gynae)
Gynaecologist and Infertility specialist